দামের ঊর্ধ্বগতি রোধে আবারও ভারত থেকে কাঁচামরিচের আমদানি বাড়তে শুরু করেছে। গত দুদিনে ৫৭টি ট্রাকে করে ভারত থেকে ৬৭৭ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল সোমবার ২৯ ট্রাকে ৩৫৪ টন এবং আজ ২৮টি ট্রাকে এসেছে ৩২৩ টন।
বাগেরহাটে বেড়েছে সবজি, মসলা, মাছ, চালসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম। বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। আজ সোমবার সকালে বাগেরহাট শহরের বড় বাজারে কেজিপ্রতি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা। সপ্তাহখানেক আগে ১৮০-২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে কাঁচা মরিচ।
ব্যাপক আমদানি সত্ত্বেও দিনাজপুরের হাকিমপুর-হিলিতে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দামবৃদ্ধি পেয়েছে কেজিতে ২০ টাকা। কারণ হিসেবে দুর্গাপূঁজার জন্য টানা ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। তবে মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে এমন দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে শাক-সবজির বাজারে দামের প্রতিযোগিতায় সবাইকে পেছনে ফেলে শীর্ষে অবস্থান করছে ধনেপাতা। কাঁচা মরিচ ও আদার মধ্যে দামে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতা থাকলেও ধনেপাতা তাদের পেছনে ফেলে রেকর্ড গড়েছে। ৪০০ টাকা কেজির কাঁচা মরিচ ও আদাকে ছাড়িয়ে ধনেপাতার কেজি এখন ৫০০ টাকা। পাইকারি বাজার থেকে খু
গেল শনিবার রাতে কাছেই এক কাঁচাবাজারে গিয়ে ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ কিনতে হলো ১৩০ টাকায়। অন্য দোকানে একটু কমে বিক্রি হচ্ছিল অবশ্য। সেটা নাকি ‘ভারত থেকে আসা’। আমদানি করা পণ্যের দাম কম হওয়ারই কথা। সংকট তীব্র হয়ে উঠলে আমরা তো আশা করেও থাকি, কবে সেটার আমদানি
ফেনীতে বন্যার কারণে চার দিন ধরে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ। এতে চট্টগ্রামের বাজারে কাঁচা মরিচের সংকট দেখা দিয়েছে। এই সুযোগে কিছু ব্যবসায়ী কাঁচা মরিচ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন। তবে এখন আর কেজি নয়, ৫০-১০০ গ্রামেই বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি।
ঈদের পর কাঁচাবাজারে ক্রেতা থাকে কম। পণ্যের দামও থাকে কিছু কম। প্রতিবারের এই চিত্রের ব্যতিক্রম ঘটেছে এবার। ক্রেতা কম থাকলেও দাম বেড়েছে বেশির ভাগ সবজি, মাছের। কাঁচা মরিচের দাম তো লাফাতে লাফাতে ৩০০ টাকায় পৌঁছে গেছে। কোরবানির ঈদের পর চাহিদা কম থাকা মাংসের দামও বেড়েছে।
আমাদের রান্নাঘরের অন্যতম প্রধান উপাদান কাঁচা মরিচ। রান্না সুস্বাদু করতে এর জুড়ি নেই। সালাদ বা হালকা খাবারের সঙ্গে কাঁচা মরিচ খেতে পছন্দ করে না—এমন বাঙালি কমই আছে। এটি খাবারের স্বাদ বাড়ায় ও সুগন্ধ যোগ করে। যাঁরা ঝাল খেতে পছন্দ করেন, তাঁদের কাছে এর বিশেষ কদর রয়েছে। আমরা রান্নায় কাঁচা মরিচের পাশাপাশি
বরিশালে কম দামে কাঁচা মরিচ বিক্রিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারির সময় ছুরিকাঘাতে কামাল হোসেন (৩০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। আহত আরও চারজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৯টায় বরিশাল নগরীর কাশীপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচের পর এবার দামের কারসাজি ভর করেছে আলুতে। রাজধানীর খুচরা বাজারে আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। আড়তদার ও কোল্ডস্টোরেজের মালিকেরা এ জন্য দায়ী করছেন মজুতদারদের। বলছেন, মজুতদারেরা সরবরাহ কমানোয় দাম বেড়েছে। তারা প্রতি কেজিতে মুনাফা লুটছে ১৩-১৪ টাকা।
তীব্র দাবদাহের পর টানা বর্ষণে মরিচখেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে বাজারে সরবরাহ সংকটে মরিচের দাম হাজার টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এখন ভারত থেকে আমদানি শুরু হওয়ায় সারা দেশেই দাম কমে এসেছে। তবে বারবার এমন সংকটে যাতে না পড়তে হয়, সে জন্য সবাইকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে মরিচ চাষ করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে চার ট্রাকে ৩৬ টন কাঁচামরিচ এসেছে। আজ সোমবার সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ট্রাকগুলো প্রবেশ করে।
বিক্রেতারা বলছেন, বেনাপোল ও ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের মরিচ বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করায় মরিচের দাম কমেছে। তবে আমদানির পুরোপুরি সুফল পেতে আরও দু-এক দিন লাগবে।
নারায়ণগঞ্জ শহরের দ্বিগুবাবুর বাজারে অতিরিক্ত দামে কাঁচা মরিচ বিক্রির খবরে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সংস্থাটির কর্মকর্তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ১০০ টাকা কেজিতে নেমে আসে মরিচের দাম।
এই সময়টায় কাঁচা মরিচের দাম বাড়া তো বিচিত্র নয়। প্রায় প্রতিবছর বৃষ্টিবাদলের সময়ে এর দাম বেড়ে যায়। ক্রেতারা সেটা মেনেও নেন। কেননা মূল্যবৃদ্ধিটা থাকে মাত্রার মধ্যে।
ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে উষা ট্রেডিং ও উৎস এন্টারপ্রাইজ নামে দুটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চারটি ট্রাকে ৩০ টন কাঁচা মরিচ আমদানি করেছে।
যশোরে এ বছর ৫৯০ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হলেও উৎপাদন নেই। যশোরের স্থানীয় কৃষকদের খেতের মরিচ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে দাম বাড়ছে হু হু করে। যশোরের বাজারের চাহিদা মেটানো হচ্ছে ফরিদপুরের মরিচ দিয়ে।